ভিশাস : ভিলেনস ১ ও ভেঞ্জফুল : ভিলেনস ২ ( দুটি বই একত্রে) (হার্ডকভার)

ভিশাস : ভিলেনস ১
ভিক্টর এবং ইলাই ভার্সিটি জীবনের রুমমেট। দুজনেই তুখোড় মেধাবী, উদ্ধত স্বভাবের, আবার একই সাথে ব্যক্তিগত জীবনে ভীষণ একাকী। চরিত্রের এই মিলের কারণে দুজনের মধ্যে গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব। শেষবর্ষে এসে থিসিস করতে গিয়ে এক অভূতপূর্ব আবিষ্কার করে তারা। তারা বুঝতে পারে, সাধারণ মানুষের পক্ষে অসাধারণ ক্ষমতার অধিকারী হওয়া সম্ভব। আর সেই সম্ভাব্যতার পরীক্ষা করতে গিয়েই ঘটে এক চরম বিপত্তি। দশ বছর পরের কথা। জেলপলাতক আসামী ভিক্টর প্রতিশোধ নেবার জন্য খুঁজে চলেছে তার পুরনো বন্ধুকে। তার সাথে যোগ দেয় সিডনি নামের এক ছোট্ট মেয়ে, যাকে আপাতদৃষ্টিতে দেখতে সাধারণ মনে হলেও আসলে তার আছে অসাধারণ এক ক্ষমতা। ওদিকে ইলাই তার লাস্যময়ী সঙ্গিনীকে নিয়ে অসাধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন সব মানুষকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেবার মিশনে নেমেছে। কিন্তু কেনো?প্রতিশোধ আর ক্ষমতা- এই দুইয়ের নেশায় পাগল দুই চরম শত্রু যখন শেষ পর্যন্ত পরস্পরের মুখোমুখি হবে, কি ঘটবে তখন? কে জয়ী হবে এই খেলায়?এই গল্প প্রতিশোধের। এই গল্প ঈর্ষা, কামনা আর ক্ষমতার লড়াইয়ের। এই গল্প নায়কদের নয়, খলনায়কদের।

ভিশাস : ভিলেনস ২
নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফেরা মার্সেলা রিগিনসের হাতে এসেছে এক অসীম ক্ষমতা- যে ক্ষমতার বলে ধ্বংস হয়ে যায় সবকিছু। আর সেই ক্ষমতার জোরে পুরো পৃথিবীকে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনার স্বপ্ন দেখছে সে। মেরিট শহরকে নিজের পায়ের তলায় নিয়ে আসা তো তার বাম হাতের খেল। কুখ্যাত মাফিয়া বসের স্ত্রী থেকে অসীম ক্ষমতার অধিকারী হয়ে ওঠা মার্সেলা এখন তৈরি করতে চায় নিজের সাম্রাজ্য। নিতে চায় প্রতিশোধ। আর তার এই কাজের সঙ্গী হিসেবে যোগ দেয় বিস্ময়কর ক্ষমতার অধিকারী আরো একগুচ্ছ এক্সট্রাঅর্ডিনারি। কিন্তু তার দলকে সম্পূর্ণ করতে প্রয়োজন আরো শক্তিশালী দুজন মানুষকে---ভিক্টর এবং ইলাই।
ওদিকে ভিক্টর তার সাথী সিডনি আর মিচকে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে পৃথিবীর এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে। আর প্রতিশোধের নেশায় উন্মত্ত হয়ে আছে ইলাই। অন্যদিকে ইন্সপেক্টর স্টেল নতুন করে এক সংগঠন তৈরি করেছে- পৃথিবীর সকল ই.ও. তথা এক্সট্রাঅর্ডিনারিদের নিশ্চিহ্ন করে দেয়াই যার উদ্দেশ্য। আর তার এ উদ্দেশ্য কি সফল হবে এবার?
প্রতিশোধ আর ধ্বংসের খেলায় জিতবে কে?
প্রতিশোধ...নাকি ধ্বংস...!